রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকা থেকে শাহবাগ আসছিল সাদা রঙের একটি প্রাইভেট কার। শাহবাগের ফুটওভার ব্রিজের সামনে আসতেই অবরোধকারী শিক্ষার্থীরা পথরোধ করে ড্রাইভারের কাছে লাইসেন্স দেখতে চান।<br /><br />ঢাকা-মেট্রো-খ-১২-০৫১৬ নম্বরের গাড়িটির ওপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের স্টিকার লাগানো। ড্রাইভার আমতা আমতা করে সরকারি গাড়ি বলতেই শিক্ষার্থীরা ভুয়া ভুয়া বলে চিৎকার শুরু করেন।<br /><br />গাড়িটির মালিকের পরিচয় জানতে চাইলে ড্রাইভার বলেন, তার স্যার উপ-সচিব। এ সময় শিক্ষার্থীরা সাইন পেন দিয়ে গাড়ির বনেটে ‘ভুয়া’, ‘লাইসেন্স নাই’, ‘ঘুষের টাকায় লাইসেন্স লাগে না?’ ইত্যাদি লিখে দেন। পরে গাড়িটি রেখে তার স্যারকে আনতে চলে যান ড্রাইভার।<br /><br />একই সময় মৎস্য ভবন থেকে পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যান শাহবাগ সিগন্যালে এলে শিক্ষার্থীরা পথরোধ করে লাইসেন্স দেখতে চান। লাইসেন্স দেখাতে না পারায় গাড়ির বনেটে ‘ভুয়া’ লিখে পিছু হটতে বাধ্য করে। এ সময় একজন বিচারপতির গাড়ি চেক না করেই তা ছেড়ে দেয়া হয়।<br /><br />মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে ডিএনসিসির আওতাধীন প্রগতি সরণি এলাকায় সু-প্রভাত বাসের চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী নিহত হন। পরে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা আট দফা দাবি ঘোষণা করেন এবং বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেন।<br /><br />আজ সকাল থেকে আবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক গেট এলাকা, শাহবাগসহ পুরান ঢাকার তাঁতিবাজার, জনসন রোড ও রায়সাহেব বাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।